দূর দিগন্ত পাড়ে ৫

  আজ শেষ দিন এই Langkawi তে। আলী এলো আমাদের কে নিতে। গাড়ীতে উঠতেই বলল,” তোমরা তো মুসলমান। আজ শুক্রবার। জুম্মা নামাজে যাবে”?

আমি কিছু বলার আগেই সতী বলে উঠল,” নিশচই। মসজিদ কতদুর”?

“ Eagle Square থেকে কাছে। তোমরা সব  দেখা শেষ করে আমাকে কল করলে আমি এসে তোমাদেরকে নিয়ে যাবো”।

Eagle Square। Kuah জেটির পাশে । এই Squareর প্রধান আকর্ষণ হোল বিশাল আকারের মানুষের তৈরী লালচে রঙের ঈগল। মনে হচ্ছে এখনি সে উড়ে যাবে। একে ঘিরে চারিদিকে ফুলের বাগান, ছোট ছোট পুকুর। সুভেনীয়ার আর খাবারের দোকান।

সমুদ্রের থেকে বেড়িয়ে আসা Bayর পেছনে সবুজ পাহাড়। এই দৃশ্য চোখ মন দুই কেড়ে নেয়।

এখানে আসতে হলে সকালে অথবা সন্ধায় আসা শ্রেয়।  কারন রৌদের তাপের সাথে সাথে Concrete এর মেঝের তাপও বাড়তে থাকে। দাঁড়ান অসম্ভব হয়ে দাড়ায়। আমরা যখন এসেছিলাম সূর্যমামা তখন মধ্য গগনে। কাজেই কিছুক্ষণ বসেই উঠে পড়লাম। সামনে সবুজ গাছে ঘেরা বাগানের ভিতর দিয়ে হেটে এলাম ফুড কোর্টে।

জুম্মা একটায়। এখনও আধা ঘণ্টা বাকি। আলীকে কল করে আসতে বলে আমরা ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ আর আইসক্রিম নিয়ে বসলাম ম্যাকডনাল্ডে। পনের মিনিটের ভিতর আলী এসে হাজির। আমাদেরও খাওয়া শেষ।

দশ মিনিটের পথ। এসে পৌছালাম” মসজিদ আল হানা” তে।

সতীকে একজন পথ দেখিয়ে নিয়ে গেলো যেখানে মহিলাদের বসার জায়গা ।

সতী কে বললাম, নামাজ শেষে ঠিক এই পিলারের কাছে এসে দাঁড়াবে আমি না আসা পর্যন্ত।

ও দাড়িয়ে ছিল আমার অপেক্ষায়। আমার দেরী হয়ে গেলো কারন আমার জুতো জোড়া খুজে পেলাম না। তার পরিবর্তে দেখলাম পড়ে আছে এক জোড়া জুতা আমার জুতার মতো দেখতে। ওটা পড়ে এসে সতী কে দেখালাম।

সে বলল,”ভুল করে কেউ নিয়ে গেছে। ভুল বুঝতে পারলে হয়তো এসে রেখে যাবে। চলো, আলীকে কল দাও”।

আলী কে কল দিলাম। সে বলল তার দশ মিনিট লাগবে আসতে। অগত্যা একটা গাছের ছায়ার নিচে এসে দাঁড়ালাম দুজনে। আস্তে আস্তে ভিড় কমে এলো। সতী বলল,” আচ্ছা, এখন তো ভিড় নেই, দেখে আসত জুতো টা কেউ রেখে গেছে কিনা”।

বললাম,” তোমার কি মাথা খারাপ হয়েছে”।

বলল,” এখানে দাড়িয়েই তো আছো, একটু যেতে অসুবিধা কি”?

অগত্যা ইচ্ছার বিরুদ্ধে গেলাম। দেখলাম আমি যেখানে রেখেছিলাম ঠিক সেই খানে সাজানো রয়েছে আমার জুতাটা।

অনেক দেখলাম। এবার Langkawi থেকে বিদায় নেবার পালা।

 গাড়ীতে এসে সতীকে বললাম অনেক তো দেখলে মন ভরল কি?

” উপরওয়ালা আমাকে তোমার মতো বন্ধু মিলিয়ে দিয়েছে, তোমার সাথে এলাম, চোখ ভোরে তার সাজানো সৌন্দর্য দেখলাম, এমনকি জুম্মার নামাজ টাও মসজিদে পড়তে পারলাম। আমার আর কি চাওয়ার থাকতে পারে, বলতো”?

ওর দিকে চেয়ে মনে হোল আরও একজন ছিল, সেও অতি অল্পতেই খুশি হতো।

বলতো,” আমার আর কি পাওয়ার থাকতে পারে বলও, তোমার মতো স্বামী পেয়েছি, প্রান জুড়ান দুটো ছেলেমেয়ে, আর আমার কি চাই বলও”?

তাইতো, তার আর কিছুই চাওয়ার ছিলনা।

আমিও পেয়ে ছিলাম, পেয়ে হারালাম।

কি ভাবছ শমিত দা।

না, কিছুনা, চলো।

সতী আলীর দিকে তাকিয়ে বলল,” আলী, ফিরে চলো হলীডে ভিলাতে”।

আলীর গাড়ী বায়ে বাক নিলো।

বিদায় Langkawi বিদায়। সকাল সাড়ে এগারো টায় আমাদের ফ্লাইট। যাবো কুয়ালা লাম্পুর। নটায় এসে পৌছালাম এয়ারপোর্টে । কেন জানি আজ মেঘাচ্ছন্ন সকাল।

 যেতে নাহি দিতে চায়।

গুরু গুরু ডাকছে আকাশ।

বলছে তুই ফিরে আয়।

 দু ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ল উপর থাকে। যে বন্ধনে বেঁধে ছিল আমাদের কে আজ তা খুলে দিতে হবে।

“ যেতে নাহি দিবো হায়, তবু  যেতে দিতে হয়”।

সামনে এগিয়ে যেতে হবে এই তো নিয়ম। পিছনে যা রেখে গেলাম তা রইল আমার স্মৃতির পাতায়।

আমি ,সতী, Langkawi।

কোন এক অলস মুহূর্তে বসে রইব আমার বেল্কনীতে। আকাশে জ্বলবে সন্ধ্যা তাঁরা। হাতের কাছে সদ্য পান করা কফির পাত্র। সামনে খোলা এ্যালবামের পাতায় পাতায় সতীর হাসি, আছড়ে পড়া সমুদ্রের ঢেউ।

বাবা বলে জড়িয়ে ধরে মেয়েটা বলবে,” কি দেখছ বাবা”?

আরও পরে, সেই আমি, চিনতে পারব না এ্যালবামের ছবি গুলো, আমার স্মৃতির পাতা থেকে বিলীন যাবে ওরা। মনে হবে ওরা দূর দেশের কেউ, ওদের কে আমি চিনি না।  সেই হাসি, যাকে আমি শুইয়ে দিয়েছি বিশাল অন্ধকারের মাঝে, সেই হাসি, যাকে আমি রেখে  এসেছি অস্ত যাওয়া সূর্যের লাল আভায় ভরা সমুদ্রের পাড়ে। আমি চেষ্টা করছি ফিরিয়ে আনতে আমার ওই স্মৃতি গুলো, আমি পারছি না, আমি পারছি না।

 বাবা বলে ডাক দিয়ে মেয়ে টা বলবে,” ঔষধ টা তো খাওনি বাবা”।

“শমিত দা, তোমাকে ডাকছে ওই কাউন্টারের লোকটা। মাঝে মাঝে তুমি কি ভাবো”?

“ তাই তো”।

কাউন্টারে এসে দাড়াতেই লোকটা চোখ বুলিয়ে নিলো আমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত। লোক বলব না, বলব ছেলে। নিতান্তই কম বয়সি। পাশে একটা মেয়ে। মনে হোল ছেলেটা নতুন, কাজে হাতখরী নিচ্ছে। মেয়ে টা মাস্টার।

বললাম,” যদি কোন অসুবিধা না হয় তবে জানালার পাশে সীট দেবেন”।

“ চেষ্টা করব”। বলে মাথা নিচু করে কাজ করতে থাকলো।

মনে হোল আজকে তার দিন টা ভালো যায় নি। নিশ্চয় বকা খেয়েছে। অগত্যা চুপ করে রইলাম।

কিছুক্ষণ পরে বোর্ডিং পাশ দুটো হাতে এগিয়ে দিলো, মুখ গোমরা করে। কিছু আর জিজ্ঞাসা করলাম না। তাকিয়ে দেখি সীট নম্বর

A & B —- হেসে বললাম,” ধন্যবাদ”।

উত্তরের অপেক্ষা না করে চলে এলাম দুজনের হ্যান্ড ব্যাগ গুলো নিয়ে।

ওয়েটিং রুমে এসে বসলাম। সব মিলে গোটা বিশ জন বসা। সতী বার বার ঘাড় ফিরিয়ে আমাকে দেখছিল। বললাম,” কি ব্যাপার, আমাকে নুতন করে দেখছ বুঝি”?

বলল,” আচ্ছা শমিত দা, যদি আমার সাথে তোমার দেখা না হতো  তাহলে কি করতে”?

হাসতে হাসতে বললাম,” জানো না সেই লাইন টা,” যদি তোর ডাক শুনে কেউ না এসে তবে একলা চলো রে”।

“না, তুমি একলা চলতে পারতে না। তোমার মাঝে একটা আকর্ষণ আছে যার জন্য কেউ না কেউ তোমার পাশে এসে দাড়াত। তা সে বন্ধু ভাবেই হোক বা অন্য কোন ভাবে”।

“ তা তুমি সেই প্রজাপতি, উড়তে উড়তে এসে বসেছ পাশে। তোমার ঐ দার্শনিকতা রেখে, চলো, ওরা লাইনে যেতে বলছে, প্লেনে উঠতে হবে”।

একঘণ্টা পনেরো মিনিট পর পৌছালাম কুয়ালা লাম্পুর ইন্টারনেশনাল এয়ারপোর্টে। বাহিরে বের হতেই দেখলাম শুভঙ্করের নাম লিখে দাড়িয়ে আছে ড্রাইভার। কাছে এসে বললাম সেই একি কথা, আমরা দুজন, অন্য দুজন আসতে পারেনি। হাসি দিয়ে বলল, আমার নাম শম্ভু করমা।  বলে আমাদের দুজনের লাগেজ  নিতে চাইল। বললাম আমার টা আমিই টানতে পারবো তুমি সতীর টা নাও।

গাড়ীটা একটু দূরেই পার্ক করা। হাটতে হাটতে বলল,” এখান থেকে এক ঘণ্টা লাগবে হোটেলে যেতে”।

তিন লেন তিন লেন ছয় লেনের হাইওয়ায়। রাস্তার দুপাশে বিভিন্ন ধরনের গাছ গাছারী। মাঝে মাঝে পরে থাকা মাঠের পরে বড় বড় বাড়িঘর তৈরি হচ্ছে। জিজ্ঞাসা করলাম শম্ভু কে, এই নির্জন এলাকায় এতো কাজ কেন হচ্ছে।

শম্ভু করমা খবর রাখে। বলল, শহরের উপর লোকের চাপ যাতে না পরে সেই জন্য অফিস আদালত কে দূরে নিয়ে আসা হবে।

হোটেল Furama Bukit Bintang এ যখন এসে পৌছালাম তখন দুপুর গড়িয়ে গেছে। শম্ভু করমা বিদায় নিলো। যাওয়ার আগে বলে গেলো কাল একজন সকাল নয়টায় আসবে। ঘুরে নিয়ে বেড়াবে কুয়ালা লামপুরের বিভিন্ন দেখার জায়গায়।

কাগজপত্র আর পাসপোর্ট গুলো কাউন্টারে রাখলাম। ভদ্রলোক আমার কাগজ গুলো এপাস ওপাশ করে বলল তোমার নামে বুকিং নাই। আকাশ থেকে পড়লাম। “নাই মানে, এই যে কাগজে বুকিং কনফার্ম লেখা আছে’?

বলল আছে, তবে তোমার নামে নেই,আছে শুভঙ্করের নামে।

বললাম, আমি তো ওই দলের একজন।

তুমি যে সেই দলের একজন তা আমরা কীভাবে জানি? তোমার বা অন্য কারো নাম তো এখানে লেখা নেই।

মনে মনে বললাম, তোমার নিকুচি করি, তা কি করতে হবে?

সতী এতক্ষণ দেখছিল। ও আমার ধৈর্যের বহর জানে।  আমাকে ডাক দিয়ে বলল,” ওদের সাথে রাগ করে কোন লাভ নেই”।

 এবার গলার স্বর নামিয়ে বললাম,” বড্ড খিদে পেয়েছে, এই আমার সব কাগজ পত্র থাকলো, আমি ঐ সোফাতে যেয়ে বসলাম, তুমি তোমার বড় সাহেবের সাথে কথা বলে যা ইচ্ছা তাই কর”। বলে চলে এলাম।

কিছুক্ষণ পর ভিতর থেকে ফিরে এসে বলল, “ এসো একটা রুম হলেই তো চলবে”?

আবারও সেই একি সমস্যা। সতী মিটমিট করে হাসছে।

বললাম,” না, চলবে না”।

রুম পাওয়া গেলো। একটা রুম খালি হয়ছে, অন্যটা পরে পাওয়া যাবে। খিদেয় পেটের নাড়ী চোঁ চোঁ করছে। সতী জানে খিদে পেলে আমার মাথার ঠিক থাকেনা। তাই সে বলল,” সব ল্যাগেজ এই রুমে রেখে চলো আমরা খেয়ে আসি”।

খোঁজ নিয়ে জানলাম খাওয়ার জায়গা হোটেল থেকে দুই মিনিটের পথ। Berjaya Time square. চোখের সামনে ভেসে উঠলো আমাদের ওখানকার Time square। আসলে তা নয়। এটা সাত তালা বিল্ডিং। বড় একটা মল। তার ভিতর ফুড কোর্ট।

সতী বলল, তুমি চয়েস করবে না আমি।

বললাম, কোনদিন আমাকে খাবার চয়েস করতে দেখেছ?

নুডুলসের সাথে বিভিন্ন শাকসবজি দিয়ে তৈরী খাবার টা ভালোই লাগলো। খাওয়া শেষে আমি নিয়ে এলাম Frozen Yogart.

সতী বলল,চলো হোটেলে যেয়ে একটু বিশ্রাম নেই, বড় ক্লান্ত লাগছে।

বাহিরে প্রচণ্ড গরম। রৌদের তাপে সতীর চোখের নিচে লালচে আভা, পোড়া পোড়া দাগ, হাতের পাতায় ছোট ছোট ঘামাচির মতো বিন্দু বিন্দু রক্তের দানার মত।

বললাম, রুমে যেয়ে Hydrocortisone cream টা লাগিয়ে নেবে। মুখে আর হাতে।

“ওটা তো তোমার কাছে”। বলল সে

আমার রুম তৈরী। পাশাপাশি। ও চলে গেলো ওর ঘরে আমি আমার।

যথারীতি নয়টায় মাইক্রবাস এসে হাজির। নিয়ে যাবে রাজার বাড়ী দেখাতে, নিয়ে যাবে Petronas Tower, চকলেট ফ্যাক্টরিতে, শেষে যাবো Ganting Highlands এ।

বড় বড় শহর বড় বড় মল, বড় বড় বিল্ডিং আমাকে আকর্ষণ করেনা। আমরা এসেছি পৃথিবীর অনেকের মধ্যে এক বৃহত্তম শহর থেকে। তবুও দেখে যেতে হবে।

রাজার বাড়ী, Istana Negara. চারিদিকে লোহার বেড়া। জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ। গেটের সামনে দুটো ঘোড়ায় চড়া Royal Calvary guard. দেখার কিছু নেই।শুধু ফটো অপ। সেখান থেকে Petronas Tower। এক সময় ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে উচু বিল্ডিং। আজ আর নয়। এখন নাম তার Tallest Twin Structure. ৮৮ তালার এই বিল্ডিং। বিয়াল্লিশ তালাতে স্কাই ব্রিজ করে দুটো টাওয়ার কে সংযুক্ত করা হয়েছে। উপর থেকে নিচে দৃশ্য দেখতে খুবই মনোরম। বলেছি আগে এই সব বড় বড় বিল্ডিং পৃথিবীর নামকরা ডিজাইনার শপ মন কারে না আর।

শহর ছাড়িয়ে এক ঘণ্টার পথ পেড়িয়ে এলাম Genting Highlands এ। ৬০০০ ফুট উচুতে Resorts World Genting. এখানে আসা যায় cable Car( Genting Skyway)এ করে অথবা গাড়ীতে। আকাবাকা পাহাড়ের পাশ দিয়ে গাড়ী উঠছে উপরে। পেঁজা পেঁজা মেঘ পাহাড়ের গা বেয়ে কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে। অপূর্ব। শহরেরে কোলাহল থেকে দূরে। নিরিবিলি। Resort এ আছে Casino, আছে ছোট ছোট খাবার জায়গা। খাবার নিয়ে আমরা বসলাম জানালার পাশে।

সতী তাকিয়ে ছিল দূরে। কোথায় যেন হারিয়ে গেলো সে। আমি বাঁধা দেইনি। ওর চোখের কণে কি যেন জ্বলজ্বল করছে।

আর আমি তাকিয়ে দেখছিলাম হাতের কাছ দিয়ে সাদা সাদা মেঘগুলো খেলা করতে করতে চলে যাচ্ছে, আমি ধরতে পারছিনা।

“শমিত দা”

“কি বলও”

“আবার কবে তোমার সাথে এই লাগাম হীন ভাবে ঘুরতে বের হবো”

“ তা তো জানিনা”।

ফিরে এলাম হোটেলে। রাতের খাওয়া শেষে Dessert নিয়ে এসে বসলাম ছাদে ঢাকা সুইমিং পুলের পাশে। বাহিরে অঝোরে ঝরছে জল শুধু আমরা দুজন পুলের পাশে। সতী পা টা উঠিয়ে দিলো আর একটা চেয়ারের উপর। বলল, শমিত দা, বলবে কি ওই গান টা কবিতা আকারে।

” আমার পরান যাহা চায় তুমি তাই, তুমি তাই গো”

না ওটা নয়, শোন আর একটা

” বন্ধু, রহো রহো সাথে

আজি এ সঘন শ্রাবণপ্রাতে।

ছিলে কি মোর স্বপনে সাথিহারা রাতে॥

বন্ধু, বেলা বৃথা যায় রে

আজি এ বাদলে আকুল হাওয়ায় রে–

কথা কও মোর হৃদয়ে, হাত রাখো হাতে”।

সতী হাত টা বাড়ীয়ে দিলো।

শপিং শেষ, বেড়ানো শেষ। এবার বাড়ী ফেরার পালা। প্রান ভরে দেখলাম এখানকার সৌন্দর্য। অতি কাছ থেকে দেখলাম সতীকে। এতো কাছ থেকে সতী কে দেখিনি কখনো। দেখলাম। মনে হোল ওর আর আমার বন্ধুত্বের যে বিশালতা তা হারিয়ে  যাবার নয়।

সতী বলল, শমিত দা আমরা একটা মাইলস্টোন তৈরি করলাম, তাই না?

হাঁ তাই।

ক্যাপ্টেনের নির্দেশ ঘোষিত হোল।  সতী তার মাথা টা এলিয়ে দিলো পাশের জানালায়।

সমাপ্ত

 

Continue Reading