শেষ দেখা

 শান্তিপুর গ্রামে। গ্রাম বলতে যা বুঝায়। একটা পাকা রাস্তা, যা চলে গেছে চুঁচড়ার দিকে। সেই রাস্তার  দুই পাশে আছে ছোট ছোট দোকান। কোনটা মুদির দোকান, কোনটা বা চুল কাঁটার। স্কুল আছে, অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত। আর আছে একটা খাবারের দোকান। সকালে বিষ্ণু তার দোকানের সামনে পরটা ভাজে। লোকেরা অলস ভাবে এসে বসে। চা খায়, সাথে পরটা। গল্প চলে।

বেশির ভাগ লোকেরই আছে জমি। সেই জমিতে ওরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকমের তরকারি করে। বাজারে বিক্রি করে। কিছু বকাটে ছেলে যে নাই তা নয়। তবুও বলতে গেলে শান্তি পূর্ণ গ্রাম।

ইকবালের বাবার আছে মুদিখানা। মাঝে মাঝে ইকবাল  এসে বসে ঐ মুদিখানায়। তার বিদ্যা অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত।

তার ঝোঁক রান্না বান্নায়। মা র কাছে বসে দেখে মা র রান্না। মা কে বলে, পিয়াজ একটু বেশি দাও মা।

মা হেসে বলে, দেখো, আর এক রাধুনী এসেছে। যা তাড়াতাড়ি দোকানের দিকে যা, বাবা বকা দেবে।

অগত্যা তাকে উঠতে হয়।

বিষ্ণু  ইকবালের বাবার বয়সী। বাবা যখন দোকানে থাকে ও তখন বিষ্ণুর দোকানে যেয়ে মিষ্টি বানানো শেখে। পরটা ভাজে। বিষ্ণু ওকে খুব আদর করে। নিজের ছেলে মেয়ে নেই, তাই বোধ হয় ওর উপর টানটা একটু বেশি।

এক সকালে ইকবালের বাবা জহরত আলি দোকান খুলতে এসে দেখে দোকানের বেঞ্চে শুয়ে আছে একটা ছেলে।

কাছে এসে দেখল সে। মনে হোল আট নয় বছর বয়স। হাতটা বুকের কাছে নিয়ে সকালের ঠাণ্ডা থেকে একটু বাঁচতে চাইছে মনে হোল।

গায়ে হাত রাখতেই ধড়মড় করে উঠে বসলো ছেলে টা। জহরত আলি আগে কখন ওকে দেখেছে বলে মনে পড়ে না।

-কি নাম তোমার? এখানে কি ভাবে এলে?

ছেলে টা কিছুক্ষণ ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে রইল। তারপর কেঁদে ফেললো। জহরত আলি বুঝে পেলো না কি করবে।

-তোমার বাসা কোথায়? কে আছে তোমার সাথে? কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ছেলে টা দুই হাত দিয়ে চোখ মুছল।

তারপর উঠে দাড়িয়ে হাটতে আরম্ভ করলো।

 জহরত আলি প্রথমে কি করবে বুঝতে পারলো না। পরক্ষনে মনে হোল এত ছোট ছেলে কে এইভাবে ছেড়ে দেওয়া ঠিক নয়। হেটে যেয়ে ছেলেটার হাতটা ধরতেই ছেলেটা কাঁদতে কাঁদতে জহরত আলি কে জড়িয়ে ধরলও।

আস্তে আস্তে নিয়ে এলো ওর দোকানে।

বলল, এখানে বসো। বলে দোকানের ঝাপ টা উঠালো। 

বিষ্ণু এতক্ষণে চলে আসার কথা। আজ কেনও যে দেরি করছে বুঝতে পারলো না। ও এলে দুজনে মিলে একটা কিছু ঠিক করতে পারত, কি করা যায় ছেলে টাকে নিয়ে।

ছেলেটার মুখটার দিকে তাকালও, ছেলেটা চেয়ে আছে ওর দিকে। মনে হোল কি যেন বলতে চাইছে।

দুরে দেখতে পেলো বিষ্ণু হেটে আসছে।

কাছে এসেই জিজ্ঞাসা করল, কি ব্যাপার?

-ছেলেটা শুয়ে ছিল এই বেঞ্চে। কোন কিছুই তো বলছে না।

-দাড়াও, আমি দোকান টা খুলে ওর জন্য একটা পরোটা বানিয়ে দেই। নিশ্চয় খিদে পেয়েছে। মুখটা দেখে মনে হচ্ছে ভয় পেয়েছে। একটু স্বাভাবিক হয়ে নিক, তাহলে হয়তো সব বলবে।

বিষ্ণু তড়িৎকর্মা লোক, কিছুক্ষনের মধ্যে পরটা আর ডিম বানিয়ে নিয়ে এলো।

-খাও বাবা, কোন ভয় নেই। বলে ওর সামনে প্লেট টা এগিয়ে দিলো।

ছেলে টা প্রথমে তাকালও ওদের মুখের দিকে। তারপর খেতে শুরু করলো। ওদের কাছে মনে হোল অনেক দিন সে যেন কিছু খায়নি।

বিষ্ণু আস্তে আস্তে নিচু গলায় জহরত আলি কে বলল, বড় মায়া ভরা চেহারা।

-আর একটা পরটা দেবো, বাবা।

-না, বলে তাকাল বিষ্ণুর দিকে।

-তোমার নাম কি সোনা।  বলে বিষ্ণু একটা চমচম ওর হাতে দিলো।

ছেলে টা বড়বড় চোখ করে তাকালও চমচম টার দিকে। যেন এই প্রথম দেখল। পুরোটা মুখের মধ্যে দিতে যেয়ে একটু থামল, তারপর অর্ধেক টা মুখে পুরে দিলো।

বিষ্ণু আবারও জিজ্ঞাসা করলো, তোমার নাম কি?

-রজত। বলে বাদ বাকি মিষ্টিটা অল্প অল্প করে কামড় দিয়ে খেতে থাকলো।

-তা বাবা রজত এখানে এলে কি ভাবে? বিষ্ণু ওর পাশে বসে মাথায় হাত দিয়ে জিজ্ঞাসা করলো।

-বাবা, রাতে নামিয়ে দিয়ে গেছে। পরে আসবে। বলে পানির গ্লাসটা থেকে ঢকঢক করে পানি খেলো।

-তোমার বাড়ী কোথায়? কাছেই ? জায়গার নাম কি?

রজত তাকাল ওদের দুজনের দিকে। মাথা নাড়াল। জানে না।

কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলল, শিমুলপুর।

শিমুলপুর? এ নাম তো ওরা কেউ শোনে নি। 

দু এক জন লোক আসতে শুরু করেছে। সব পরিচিত মুখ। প্রতিদিন সকালে ওরা আসে। বসে রৌদ তাপায়। চা খায়। সবাই শুনল ঘটনা টা। এক একজন এক এক পরামর্শ দিতে থাকলো। কেউ বলল, পুলিশের কাছে দিয়ে দিতে। কেউ বলল, এতিমখানায় পাঠিয়ে দিতে।

-পুলিশের কাছে দিলে ওরা কি করবে কোন ঠিক আছে। আর এতিমখানা? জানোই তো এতিমখানার অবস্থা।

তার চেয়ে বরং, বলে একটু থামল বিষ্ণু। দাড়াও আমার বৌ এর কাছ থেকে শুনে আসি। বলে হনহন করে রওয়ানা দিলো বাড়ীর দিকে।

রজত ভয়ার্ত দৃষ্টিতে তাকাচ্ছিল লোকগুলোর দিকে। এক সময় বেঞ্চ থেকে উঠে এসে জহরত আলির জামাটা আঁকড়ে ধরে লেপটে রইল ওর গায়ের সাথে।

দেখা গেলো বিষ্ণু আর ইকবাল কে। ওরা খুব দ্রুত হেটে আসছে। কাছে এসেই ইকবাল রজতের হাতটা ধরলও। পথে আসতে আসতে বিষ্ণু সবকিছু বলেছে ইকবালকে। ইকবাল রজতের হাত ধরে দোকানে ভিতর নিয়ে এলো।

বিষ্ণু তাড়াহুড়া করে আসাতে একটু নিশ্বাস নেওয়ার জন্য বসলো বেঞ্চে। তারপর বলল, বৌ রাজি আছে। আপাতত ছেলেটা আমার বাসায় থাকবে। পরে কেউ যদি খোঁজ নিতে আসে তখন আমরা সবাই সত্যতা যাচাই করে রজত কে পাঠিয়ে দেবো। তোমরা সবাই কি বলও।

কেউ কেউ বলল রাজি, বাকীরা চুপ করে রইল।

রজত খেলছে ইকবালের সাথে। দাঁড়িপাল্লা নিয়ে।

হঠাৎ ইকবাল বলল, বাবা, রজত কে আমাদের বাসা থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসবো?

-যাও, আর বিষ্ণু কাকার বাসাতেও নিয়ে যাও। বলে দোকানের ভিতরে এসে বসলো।

রজতের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। ইকবালের পাশে পাশে  হেলে দুলে চলেছে সে । মাঝে মাঝে দৌড়িয়ে যেয়ে রাস্তার পাশে মুরগী টাকে ধাওয়া দিচ্ছে। মনের ভিতরের ক্রন্দন ভাবটা কমে এসেছে। তবুও মাঝে মাঝে বাবার মুখ টা মনে পড়ছে। বাবা আসবে বলেছিল। মার মুখ টা মনে পরে আবছা আবছা। পরে যে মা টা এসেছিল, সে কেনও ওকে বকা দিতো? ও তো শুধু আর একটু দুধ চেয়েছিল খাবে বলে।

-মা দেখো কাকে নিয়ে এসেছি। বলে জোড়ে ডাক দিলো ইকবাল।

-কে এই ছেলে টা? মা বলতে বলতে এগিয়ে এলো।

রজত দেখতে পেলো একটা কবুতর বকবকুম বকবকুম করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সে দৌড়িয়ে গেলো ওটাকে ধরবে বলে।

ইকবাল মা র কাছে এসে বলল আজকের ঘটনা।

-তা সারাদিন কিছু খেয়েছে ছেলেটা? যা মুড়ি আর পাটালি আছে, নিয়ে এসে ওকে দে। আহা রে কোন হতচ্ছাড়া এই কাজ করল। ওই বেটা কি মানুষ? বলে রজতের হাতটা ধরে নিয়ে এসে বসালো রান্না ঘরের মেঝেতে।

আর সেইক্ষণে রজত জোড়ে কেঁদে উঠল। জড়িয়ে ধরলও ইকবালের মা কে।

কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকল, আমার বাবা কোথায়, আমার বাবা কোথায়।

-আসবে সোনা, তোমার বাবা আসবে। বলে সান্ত্বনা দিতে থাকলো ইকবালের মা। ওর ও চোখ টা পানিতে ভরে এলো।

-আয় রজত আমরা মুড়ি খাই। বলে ইকবাল ওকে নিয়ে বসল মাদুরের উপর। রজত তখনো ফোফাচ্ছে।

ইকবালের মা শাড়ীর আঁচল দিয়ে মুখটা মুছিয়ে দিলো।

রজত বসলো ইকবালের পাশে।

পাঁচ টা দিন কেটে গেছে। রজতের বাবা ফিরে আসেনি। রজতের ঠাঁই হয়েছে বিষ্ণুর বাসায়। কেউ কেউ আড়ালে কথা উঠিয়েছিল, মুসলমানের ছেলে, থাকবে কিনা অন্য ধর্মের বাসায়।

ধপে টেকে নি। জহরত  আলি মুখের উপর বলেছিল, তাহলে তোমরা তোমাদের বাসায় নিয়ে রাখো, যতদিন না ওর বাসার অথবা ওর বাবার খোঁজ পাওয়া যায়।

বিষ্ণুর বৌ ইন্দু। কোলে তুলে নিলো রজত কে। নতুন জামা কাপড় কিনে নিয়ে এলো। মনের সেই অতৃপ্ত বাসনা আজ পূর্ণ করেছে ভগবান।  রজত কে নিজে হাতে খাইয়ে দেয়। স্কুলে যাওয়ার আগে পরিপাটি করে চুল আঁচড়িয়ে দেয়। বিষ্ণু দেখে তার ইন্দুর মলিন চেহারা কোথায় যেন বিলীন হয়ে গেছে। যে ইন্দু চুপচাপ করে বসে থাকতো তার আজ বসার সময় কোথায়।

শুধু তাই নয় বিষ্ণুর জায়গা হয়েছে অন্য ঘরে। রজত কে পাশে নিয়ে ইন্দু থাকে তার ঘরে । বিষ্ণু একটু আপত্তি তুলেছিল, ইন্দু বলেছিল, না, এখন ও রজত বড় হয়নি। রাতে ঘুমে ভয়ের স্বপ্ন দেখলে ভয় পাবে।

বিষ্ণু হেসেছিল। তারও যে মনটা ভরে উঠেনি তা নয়। অনেকটা বছর পেরিয়েছে ওরা ছিল সন্তানহীন । আজ যখন উপরওয়ালা মুখ তুলে চাইলো তখন তার কাছে অন্য সবকিছুই তো তুচ্ছ।

দিন থেকে সপ্তাহ, সপ্তাহ থেকে মাস পেরিয়েছে। কেউ আসেনি রজতের খোজে। রজতও মিশে গেছে ওদের সাথে। ইন্দু কে মা বলে ডাকে। বিষ্ণুকে বলে বাবা।

স্কুলের বন্ধুরা আসে, খেলা করে। মাঝে মাঝে ইকবাল নিয়ে যায় বাজারে। নিয়ে যায় খালের পাড়ে। বড়শি দিয়ে মাছ ধরেতে যায়, মাছ ওঠে না। নাই বা উঠলো। গুলতি দিয়ে পাখি মেরে বেড়ায়। পাখির গায়ে লাগে না। চিঁ চিঁ করতে করতে ওরা উড়ে যায়।

এইভাবে ছয়টা মাস কেটে গেলো। একদিন দুপুরে চুঁচড়া যাওয়ার বাস টা শান্তিপুর বাস স্ট্যান্ডে থামতেই  নামল একজন মাঝ বয়সী লোক। পাঞ্জাবী পায়জামার উপর চাদর গায়ে। চারিদিকে তাকাচ্ছিল। আস্তে আস্তে এসে দাঁড়ালো জহরত আলির দোকানের সামনে। উসখুস করছিল। জহরত আলি কয়েক বার তাকালও ওর দিকে। আগে কোনদিন দেখেনি এই তল্লাটে।

-কিছু লাগবে?

জহরত আলির কথা শুনেই লোকটা একটু এগিয়ে এলো। কি যেন বলতে গিয়েও থেমে গেলো। আমতা আমতা করে বলল, প্রায় ছয় মাস আগে, মানে, আমার সাথে একটা ছোট ছেলে ছিলো, ও প্রস্রাব করবে বলে নামতেই বাস টা ছেড়ে দিয়েছিল। তাড়াহুড়া করে আমি নামতে পারিনি।

 জহরত আলির দুই চোয়াল কঠিন হয়ে এলো। তাকালও আগন্তুকের দিকে।  

-তা রোখকে বলে বাস টাকে তো থামাতে পারতেন। ছয়মাস পরে এসেছেন খোঁজ নিতে। আপনাকে তো —

কথা শেষ করতে পারেনি জহরত আলি, তার আগেই কাঁদতে কাঁদতে লোকটা জহরত আলির হাতটা চেপে ধরল।

-ওকে কি দেখেছেন আপনি? জানেন কি কোথায় পাবো ওকে?

জহরত আলি হাতটা ছাড়িয়ে নিলো।

বিষ্ণু দেখছিল ওদের দুজন কে। এগিয়ে এলো সে।

-কি ব্যাপার? জহরত দা কি হয়েছে? বিষ্ণু কাঁপা কাঁপা গলায় জিজ্ঞাসা করলো।

-উনি বলছেন, ছয় মাস আগে একটা ছেলে—

বিষ্ণু তারস্বরে বলে উঠল, না না আমরা এখানে কোন ছেলে কে দেখিনি। আপনি ভুল জায়গায় এসেছেন খোঁজ নিতে। যান এখান থেকে।

ঠিক সেই সময় দেখা গেলো দুরে রজত আর তার বন্ধু জমির হাটতে হাটতে আসছে এইদিকে। স্কুল ছুটির পরে ওরা প্রতিদিন আসে বিষ্ণুর দোকানে। মিষ্টি খায়। তারপর ইকবাল এলে ওর সাথে খালের পাড়ে যেয়ে খেলা করে। আজও তার ব্যতিক্রম ছিলনা।

কাছে এসে থমকে দাঁড়ালো রজত। তাকালও আগন্তুকের দিকে। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে পিছন ফিরে দৌড় দিলো। দৌড়াতে দৌড়াতে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ল ইন্দুর কোলে।

-না না আমি যাবো না মা। আমি যাবো না মা। বলে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকলো।

ইন্দু কিছুই বুঝতে পারলো না।

-কি হয়েছে সোনা? কোথায় যাবে না?

-যাবো না বাবার সাথে। বলে কাঁদতে থাকলো।

-বাবা বকেছে বুঝি? আজ বাসায় এলে আমি বকা দিয়ে দেবো। বলে তাকাল উঠানের দিকে।

দেখল জহরত আলি আর বিষ্ণুর পাশে এক অপরিচিত লোক।

বুকটা হিম হয়ে গেলো ইন্দুর। বুঝতে বাকি রইল না কোন বাবার কাছে রজত যেতে চাচ্ছে না।

আঁকড়ে ধরে রইল রজত কে।

দুজনেই কাঁদছে।

রজত শুধু জোড়ে জোড়ে মাথা নাড়াচ্ছে আর বলছে, আমি যাবো না আমি যাবো না।

ইন্দুর মুখটা নেমে এলো রজতের কপালে। চুম দিতে দিতে কাঁদতে কাঁদতে বলল, তোকে কেউ নিতে পারবে না আমার কাছ থেকে। কেউ নিতে পারবে না।

আগন্তুক কিছুক্ষণ দাড়িয়ে রইল। চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।  তারপর চোখ টা মুছে পিছন ফিরে হাটতে আরম্ভ করলো।

Continue Reading