“তুমি বলেছিলে দেখতে চাও সেই বাসাটা যেখানে আমি প্রথম সূর্যের আলো দেখেছিলাম। সেই তেঁতুল গাছটা যার নীচে এক্কা দোক্কা খেলতাম আমারই মতো ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের সাথে। সেই বকুল গাছটা। ভোরের আলো ফোটার আগে কুড়িয়ে নিতাম বকুল ফুলগুলো। আম গাছটা। দাদির ঘরের জানালা দিয়ে দেখা যেতো। দাদি দুপুর বেলা তাকিয়ে তাকিয়ে পাহারা দিতো। যেনও বিচ্ছু ছেলে গুলো ঝাঁপিয়ে না পড়ে গাছটিতে। বলেছিলে দেখতে চাও সেই মাঠটা যেখানে সরু সরু দুটো পা দিয়ে জাম্বুরাকে লাথি মেরে গোল দিতাম। দেখতে চাও সেই চোঁরাস্তার মোড়, যেখানে তিন বন্ধু সাইকেল নিয়ে দাড়িয়ে দৃশ উপভোগ করতাম। হয়ত দেখবে হারিয়ে গেছে সেই মাঠ অট্টালিকার মাঝে। তেতুলের গাছ খড়ি হয়ে জ্বলছে কারোর উননে। বকুল ফুল আর ফোটে না। তবুও তোমাকে দেখাব সেই জায়গা গুলো”। এত গুলো কথা বলে আনন্দ থামল। তাকাল সানন্দার দিকে।
সানন্দা বলল, “আমি আরও দেখতে চাই সেই পথ যে পথ দিয়ে তোমরা দুজন পায়ে পায়ে হেটে গিয়েছিলে। সেই গাছ, সেই মাঠ, সেই ফুল বাগান যারা তোমাদের সান্নিধ্য পেয়েছিল। সেই গেট, যেখান থেকে সে বেরিয়ে এলে তুমি বলেছিলে কাঠবেড়ালিরা থমকে দাড়িয়ে যেতো। সেই বাসা যেখানে সে তোমার বাহুর বন্ধনে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিল”।
আনন্দ সানন্দাকে উলেন কোটাটা পড়ে জীপার টা লাগিয়ে নিতে বলল। “অনেক দিন পরে এসেছ , আবহাওয়ার সাথে এডজাস্ট করতে সময় লাগবে”, বলল আনন্দ।
সানন্দা তাকাল আনন্দর দিকে, একটু হেসে জীপারটা টেণে উপরে উঠিয়ে দিলো। গেট থেকে দেখতে পেলো ঝুম্পা দাড়িয়ে। হাত নেড়ে জানালো তার অবস্থান। বের হয়তেই ঝুম্পা জড়িয়ে ধরল সানন্দাকে।
যান জট পেরিয়ে বাসাতে এলো দুঘণ্টা পর। আনন্দ ক্লান্ত। ওরা তিনজন হাসির ফোয়ারা ছড়াল। আনন্দের চোখ জড়িয়ে এলো ঘূমে। কাল যেতে হবে শাশুড়ি মার বাসায়
আনন্দের এপথ চেনা। কতবারই না সে এসেছে এই পথ দিয়ে। দুধারে ফসলের ক্ষেত। পীচ ঢালা রাস্তার দুপাশে বড় বড় গাছ। মাঝে মাঝে গরু ছাগল আস্তে আস্তে হেটে পাড় হচ্ছে। কোন কোন কৃষক টানা গাড়ীতে উঠিয়েছে তার মাঠের ফসল। বেচতে চলেছে দূর বাজারে।
আনন্দ সানন্দাকে বলে,”কেমন লাগছে?”
অপূর্ব।
সানন্দাকে নিয়ে যখন এসে পৌছাল তখন দুপুর গড়িয়ে গেছে। ওকে নিয়ে উপরে উঠে এলো। বলল, “এসো তোমাকে পরিচয় করিয়ে দেই আমার শাশুড়ি মার সাথে”।
দুজনে জড়িয়ে ধরে কাঁদলও অনেক। সানন্দা উঠিয়ে নিয়ে এলো শাশুড়ি মাকে। বসিয়ে দিল বাহিরের চেয়ারে। খাইয়ে দিল নিজে হাতে। শাশুড়ি মা তাকিয়ে রইল সানন্দার দিকে। কি যেনও খুজছে সে।
“এই যে দেখছ স্কুলটা এখান থেকে সে পাশ করে বেরিয়ে ছিল । প্রথম বিভাগে ভাল রেজাল্ট করে। এর আগে এত ভাল রেজাল্ট এই স্কুল থেকে কেউ করেনি। এদিকে এসো, পাশ দিয়ে হাঁটো, রিক্সায় ধাক্কা লাগতে পারে”।
“কনার নাম কেন স্কুলের দেয়ালে”?
“বলবো, দেখবে চলো”।
দুজনে এলো ভিতরে। দোতালায় কণার একটা বিরাট ছবি টাইলস দিয়ে নিখুঁত ভাবে আঁকা। অপূর্ব দেখাচ্ছে ওকে।
“তুমি তো আমাকে এসব কিছু বলোনি আনন্দ দা? কি সুন্দরই না দেখাচ্ছে? তুমি তার স্মৃতি আজীবন ধরে রাখলে এই নিখুঁত আঁকা ছবিটার মাঝে। এই স্কুলের সবেই দেখবে ছবিটা। জানবে তাকে। তাদের মাঝে সে বেচে থাকবে। সে হারিয়ে যায়নি আনন্দ দা। সে হারিয়ে যায়নি”।
“এই তো আমি চেয়েছিলাম। দোতালাটা ওর নামে উৎসর্গিত। জানো, এখান থেকে মাত্র আধা ঘণ্টার পথ যেখানে আমার জন্ম। অথচ দেখা হয়েছিল সেই সুদুর প্রান্তে”।
চলো, বাসায় ফেরা যাক। ওরা অপেক্ষা করছে।
আনন্দ, সানন্দা এসে দাঁড়াল বারান্দায়। সন্ধ্যা হয়ে এলো। একটা টিকটিকি টিকটিক করে ডেকে বেড়াচ্ছিল আলোটার পাশে। সানন্দা গায়ের চাদরটা টেনে দিলো মাথায়। দূরে আজানের ধ্বনি। রাস্তায় সাইকেলের টুং টুং শব্দ। পথিক ফিরে চলেছে তার ডেরায়। নিস্তব্ধতা খান খান হয়ে ভেঙে গেলো একটা পাখির আত্ম চিৎকারে। পাখা ঝাপটিয়ে উড়ে গেলো সে।
“খাবেনা আপা?” ডাক দিলো শোভনের মা।
খাওয়া শেষে সানন্দা শুয়ে পড়লো শাশুড়ি মার পাশে। শোভনের মা ঠাই নিলো নিচে।
মাঝ রাতে আনন্দ শুনতে পেলো শেয়ালের ডাক। মনে হোল অতি কাছে। জানালাটা খুলে তাকাল আনন্দ। জোছনা রাত। আলোর রশ্মি ছড়িয়ে পরেছে আম বাগানে। ঝলমল করছে চারিদিক। আনন্দ কতক্ষণ দাড়িয়ে ছিল জানালার পাশে মনে করতে পারেনা। ডং শব্দ করে বাহিরের ঘড়িটা জানালো রাত দুটা।
সকালে পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলো আনন্দের। হাত ঘড়িটাতে দেখল সকাল আটটা। বাহিরে সানন্দার কথা শুনতে পেলো। সুন্দর ভাবে মিশে গেছে সবার সাথে। কারোর মনে কোন দ্বিধা নেই। দ্বিধা নেই সম্পর্ক নিয়ে।
নাস্তা শেষে ট্যাক্সি ডেকে বেরিয়ে পড়লো দুজন। আধা ঘণ্টার পথ। সানন্দা বলল,”জানো আনন্দ দা আমি খুব একটা থ্রীল অনুভব করছি। মনে মনে তোমার ছোট বেলার চেহারাটা একে নিয়েছি”।
ট্যাক্সিটাকে রাস্তার পাশে দাড়াতে বলে আনন্দ সানন্দাকে নেমে আসতে বলল। “রিক্সা করে ঘুরব, তা নাহলে সব কিছু দেখতে পাবেনা”। বলল আনন্দ।
“এইযে দেখছ দালান বাড়ীটা, এখানে আমার জন্ম।“
“মিল পাচ্ছিনা?”
“পাবে, আগে তোমাকে ভিতরটা দেখিয়ে নিয়ে আসি, এইযে দেখছ ভাঙা কুয়াটা, এই জানালা, ওই দেখো আম গাছটা, পুব পাশে ছিল তেঁতুল গাছটা, আজ আর নেই। এবার তুমি চোখ বন্ধ করে ফিরে যাও পঞ্চাশ দশকে।
খড়ের ছাউনী দেওয়া বাসা। বছরে বছরে লোকেরা এসে পুরানো খড় ফেলে নতুন খড় লাগিয়ে দিয়ে যেতো। পরে টিনের ছাদ লাগানো হয়েছিল। এরেই একটা ছোট্ট ঘরে আমার জন্ম। ওই যে কুয়াটা দেখলে ওটা ছিল পানিতে ভরা আর গভীর। ওখান থেকে পানি উঠিয়ে গোসল করতাম। বেড়া দিয়ে ঢাকা ছিল চারপাশ, মধ্যে একটা গেট। গেট খুলে যেতাম অনুদের বাসায়। ওখানে ছিল তেঁতুল গাছ টা। তারি নীচে ওর সাথে এক্কা দক্কা খেলতাম। এইযে বড় ঘরটা দেখলে ওটা অত বড় ছিলনা। ওখানে দাদি আমাদেরকে (মানে আমি আমার ভাই এর এক বোন) নিয়ে শুতেন।
তোমাকে একটা মজার গল্প না বলে পারছিনা। সেই আমলে দাদি ছিল স্বাস্থ্য সচেতন। প্রতিদিন ভোর বেলা আমাদের সবাই কে নিয়ে প্রাতঃ ভ্রমনে বের হতেন। একদিন ভোরে দাদি ডাক দিলো আমাদের সবাইকে। আমরা সবাই গভীর ঘুমে। উঠতে হবে। চোখ কচলাতে কচলাতে বেরিয়ে এলাম রাস্তায়। কাক পক্ষী কেও নাই । শুধু আমরা চার জন। রাস্তা আলোয় আলোকিত। এমন সময় হুইসেল শুনলাম। কে জেনো পিছন থেকে ডাকছে। আমরা দাঁড়ালাম। লোকটা আগিয়ে এলো। পাহারাদার। আমাদের পরিচিত। দাদিকে চেনে। জিজ্ঞাসা করল এত রাতে রাস্তায় কেন?
দাদিতো আকাশ থেকে পড়ল। “ এত রাত মানে? এখন তো সকাল”।
পাহারাদার তার পুরান হাত ঘড়ি দেখাল। রাত তিনটা। ফুটফুটে জোছনার আলো। দাদির মনে হয়েছিল ভোর হয়ে গেছে।
এইযে ডান দিকে ভাঙ্গা জায়গাটা দেখছ এখানে ছিল রান্না ঘর। মাটির তৈরী। তুমি যেখানে দাড়িয়ে আছো সেখানে আমরা তিন ভাইবোন মাদুর পেতে হারিকেনের আলোয় পড়াশোনা করতাম। রাতের খাওয়া আমরা খেতাম দাদির হাতে। দাদি হুক্কা টানত। হুক্কার আওয়াজ বন্ধ হলে আমরা জানি আমাদের খাওয়ার ডাক পরবে। আমরা উচ্চস্বরে পড়ার মাঝে মাঝে কান পেতে থাকতাম কখন হুক্কার আওয়াজ বন্ধ হয়। সে আজ কতকাল আগের কথা”, এই বলে আনন্দ থামল।
“চোখ খুলব?”
খোলো, কেমন দেখলে?
অপূর্ব, আমার চোখে ভাসছে দাদির চেহারা আর তোমার সেই অনু, আর দেখা হয়েছিল কি?
না, জানিনা কোথায় সে, হয়ত কয়েক ছেলে মেয়ের জননী, অথবা হারিয়ে গেছে এই ধরাধাম থেকে।
এবার চলো, তোমাকে নিয়ে যাই মোড়টাতে। যেখানে আমরা তিন বন্ধু দাড়িয়ে থাকতাম সাইকেল নিয়ে। এখানে আগে ট্রাফিক পুলিশ দাঁড়াত। গাড়ী নিয়ন্ত্রণ করত। এখন সেখানে সাদা কবুতরের ভাস্কর্য।
জানো আমি প্রথম যখন সাইকেল চালানো শিখি, বয়স ছয়, বাবার সাইকেলটা নিয়ে বেড়িয়ে ছিলাম। এই মোড়ে এসে
ঘাবড়ে গেলাম। ডানে যাব না বায়ে। সাইকেল থেকে মেনে ট্রাফিক পুলিশকে জিজ্ঞাসা করলাম কোন দিক দিয়ে ঘুরতে হবে। জানো সে কি বলেছিল?
কি?
বলেছিল তিনবার ঘুরে তারপর সোজা যাবে।
তুমি তাই করেছিলে? সানন্দা মিটমিট করে হাসতে হাসতে জিজ্ঞাসা করেছিল।
তোমার কি মনে হয়?
সানন্দা হো হো করে হাসে উঠল।
চলো এবার দেখবে সেই সিনেমা হল যার সামনে সন্ধ্যা বেলা আমরা দাড়িয়ে দাড়িয়ে গান শুনতাম। দেখবে সেই রাস্তা টা যার উপর দিয়ে টুং টুং ঘণ্টা বাজিয়ে সাইকেল চালাতাম। হয়ত কোন জানালার কপাট খুলে কারো মুখ এক ঝলকের জন্য দেখা দিতেও পারে সেই আশায়।
সানন্দা শাশুড়ি মাকে জড়িয়ে ধরে অনেক কেঁদেছিল। বিদায়ের শেষে শাশুড়ি মা আনন্দকে বলেছিল, আবার এসো বাবা, পারলে আমার এই মেয়েটা কেও নিয়ে এসো।
ওরা ফিরে এলো ঝুম্পার বাসায়। সন্ধ্যা হয় হয়। ঝাল পিয়াজ দিয়ে মুড়ি মাখিয়ে ঝুম্পা ডাক দিলো ওদেরকে। সানন্দা বসলো ঝুম্পার সাথে। আনন্দ চা র পেয়ালা টা হাতে নিয়ে এসে দাঁড়ালো বাহিরের বেল্কনীতে। ভাবে, কবে এর শেষ? জীবনের এই উঁচু নীচু গ্রাফ আর কত দিন চলবে? বেশ কাটে সানন্দার সাথে কথা বলে, আবার হারিয়ে যায় ফেলে আসা দিন গুলোর মাঝে।
“কি ভাবছ?” সানন্দা এসে দাঁড়িয়েছে পাশে।
উত্তর আসেনা। আনন্দ তাকিয়ে ছিল দূরে। সানন্দা জানে আনন্দ ফিরে গেছে অনেক পিছনে।
তাকিয়ে থাকে আনন্দের দিকে।
পরদিন আনন্দ জিজ্ঞাসা করেছিল সানন্দাকে,” কোথা থেকে শুরু করবো, বলো”?
“ সেই বাড়ী যেখানে পাতাবাহার গাছের ফাকে তোমাদের ছবি আমি দেখে ছিলাম তোমার ঘরে। ওর পরনে ছিল বিয়ের সাজ। সাধা কালো ছবি”।
“ যাবো সেখানে, তবে আশা তোমার পূর্ণ হবেনা”।
তিন চাকার স্কুটারটা এসে দাঁড়াল জরাজীর্ণ পাঁচতালা বাড়ীটার সামনে।
“জিজ্ঞাসা করোনা কেন বাড়ীটার আজ মলিন চেহারা। আমি শুধু তোমাকে দেখাতে এসেছে আমার অতীত, আমাদের অতীত।
আটচল্লিশ বছর আগে টিনের ছাদ দেওয়া চার ঘরের একটা বাসা ছিল এইখানে। এই যে দেখছ বা পাশে ভাঙ্গা ঘরটা ওটা ছিল রান্না ঘর। সামনে ছিল অনেক জাগা, ওখানে ছিল পাতাবাহারের গাছ।
ডান দিকে চার ঘরেরে শেষ ঘরটা তে আমরা সময় কাটাতাম, হাসতাম, তাস খেলতাম।
তুমি কি ভাবছ? এটা বিয়ের পরে? না, এসব বিয়ের আগে। হাসতে হাসতে, খেলতে খেলতে একদিন মনে হোল আমরা জড়িয়ে পরেছি কোন এক বন্ধনে। তারই শেষ হয়েছিল এই ঘরটাতে। হয়েছিল আমাদের বাসর রাত।
তারপর?
তারপর আমরা চলে গিয়েছিলাম বাহিরে। এই টিনের বাড়ী ভেঙ্গে উঠেছিলো পাঁচ তালা দালান বাড়ী। আমরা এলে মার সাথে ওই পাঁচতালাতে থাকতাম”। বলে আনন্দ থামল।
একটা লোক বেরিয়ে আসতেই জিজ্ঞাসা করল পাঁচতালায় যাওয়া যাবে কিনা।
লোকটা বলল,”আসুন আমার সাথে”।
“পারবে তো?” আনন্দ জিজ্ঞাসা করল সানন্দাকে।
“ আজ আমি সব দেখব আনন্দ দা”।
উঠে এলো ওরা পাঁচ তালায়। দেওয়ালের রং উঠে গেছে, খসে পরছে কিছু কিছু জাগা, মাকড়সা বেধেছে তাদের বাসা।
“ এই ডান দিকের ঘরটাতে আমরা থাকতাম। মা থাকত আমাদের পাশের ঘরে। ওই যে কর্নারটা দেখছ, ওখানে মা পানের বাটা নিয়ে বসতো। কনা বসে মার সাথে গল্প করতো আর পান খেতো। সব এলোমেলো হয়ে গেলো, তাই না সানন্দা”।
“ এইতো নিয়ম। চলো নিচে যাই।“
“চলো”।
ফিরে এলো সেইখানে, সেই গেটের কাছে। সানন্দা বলল,” এই সেই গেট?”
“হা, তখন এত লোকের আনাগোনা ছিলনা। রাস্তা পেরিয়ে এসে ওই যে গাছটা দেখছ ওর ছায়ায় বসতাম। সময় কোথা দিয়ে পার হয়ে যেতো বুজতে পারতাম না”।
তারপর? তারপর তোমরা বসতে ইউনিভারসিটির মাঠে, হাটতে পীচে ডালা এই পথ দিয়ে। তাই না?
শেষ এসে দাড়িয়ে ছিলে এই মাঠে, বই মেলার দিন। তোমার কাধে মাথা রেখে বলেছিল, আর নয় এবার ফিরে চলো।
তাই, আনন্দ অন্য মনস্ক হয়ে হাঁটতে থাকল। সানন্দা কিছু বলল না। চেয়ে চেয়ে দেখল আনন্দের মুখটা। দেহটা আছে মনটা চলে গেছে অনেক দূরে। এই আনন্দকে সে চেনে। দেখেছে। ভেবেছে, কোন ভাবেই কি ওর মন টাকে ফিরিয়ে আনা যায়না? উত্তর মেলেনি।
Excellent. কথাপোকথন গুলো সুন্দর।চোখের সামনে আনন্দর বাড়ীটা ভেসে উঠলো।টিনের বাড়ীটার সামনে সবুজ উঠান। একটা শিউলি ফুলের গাছও মনে হয় ছিল।আহা তোমার লেখার মত সব যদি সহজ হতো!তবে আশা করতে কোন অসুবিধা নেই।লেখকের কাজই সমাজকে পালটে দেয়া।খুব সুন্দর। আমার ছোটবেলা মনে পরে গেল।
6 Comments
দুজনের কথোপকথনের মাধ্যমে অতীতের স্মৃতিচারণ করার স্টাইলটা ভালো লেগেছে।
Very nice story.This part makes me nostalgic.l fill,I’m so familiar with all the characters of the story.wait for the next part.
Excellent. কথাপোকথন গুলো সুন্দর।চোখের সামনে আনন্দর বাড়ীটা ভেসে উঠলো।টিনের বাড়ীটার সামনে সবুজ উঠান। একটা শিউলি ফুলের গাছও মনে হয় ছিল।আহা তোমার লেখার মত সব যদি সহজ হতো!তবে আশা করতে কোন অসুবিধা নেই।লেখকের কাজই সমাজকে পালটে দেয়া।খুব সুন্দর। আমার ছোটবেলা মনে পরে গেল।
আনন্দ বাবু আপনার মনটা যেমন সুন্দর লেখাটা তেমন সুন্দর হয়েছে আপনার অতীতের সৃতি এত সুন্দর গল্পে লেখেছন, আরো অতীত নিয়ে সুন্দর সুন্দর গল্প লেখেন দোয়া করি
Anondo, at least you find a very good friend,You can share with her your past memories.Very good,Keep going.
Atit ase bole manush beche thakar prerona pay.Khub sundarvabe atiter sriti tule dhoreso.Kisukkhaner janno holeo monta harie giyesilo pachtala baritar majhe.Hayto amio kisu kujte chaisilam.Very nice writing.Keep going.