পিকু তুই কোথায়? তোকে অনেক খুঁজেছি আমি, আজও খুজে চলেছি। ফেসবুকে তোকে খুঁজেছি। ভেবেছি হয়তো একদিন দেখতে পাবো তোর ছবি।
চিনতে পারব কি?
সেই ছেলেবেলার তোর আমার সাদাকালো ছবিটা আজও আছে আমার এ্যালবামে। এইতো সেদিন এ্যালবাম গুলো বাক্সবন্দি করতে যেয়ে ঝরঝর করে কতোগুলো ছবি মেঝেতে পড়ে গেলো। উঠাতে যেয়ে ঐ ছবিটা দেখতে পেলাম। কত কত কত আগের সেই ছবি। ওটাকে কুড়িয়ে নিয়ে আমি এসে বসলাম আমার ছোট্ট ড্রয়াইং রুমে।
ফিরে গেলাম আমি অনেক অনেক পেছনে। তোর সাথে তখনো আমার বন্ধুত্ব হয়নি। তুই একটু মুখচোরা ছিলি। আর আমি ছিলাম তার উল্টো।
মনে পড়ে কি সেই দিনের কথা?
তোদের বাসার পাশে বড় আম গাছটার নিচে আমরা চারজন মধু, মহি, সন্তোষ আর আমি মার্বেল নিয়ে খেলা করছিলাম। তুই দাড়িয়ে ছিলি পাশে। মার্বেল খেলায় আমি সিদ্ধহস্ত। হার জিতের মাঝে জিতের সংখ্যাই আমার বেশি।
তুই বড় বড় চোখ করে খেলা দেখছিলি। হঠাৎ ই আমার চোখ পড়লো তোর উপর।
বললাম, খেলবে?
মনে হোল তুই কিছুই বুঝতে পারলিনা।
আবারও বললাম। খেলবে? এই নাও চার টি মার্বেল।
তুই ভয়ার্ত মুখ করে বলেছিলি, না, বাবা বকবে।
মহি তোর মাথায় একটা চাট্টি দিয়ে বলেছিল, তাহলে এখানে দাড়িয়ে কেনও, বাসায় যাও।
তুই আস্তে আস্তে মাথা নিচু করে বাসার দিকে চলে গেলি।
আমি মহি কে বলেছিলাম, ওকে মারলি কেন?
মারি নি তো, শুধু একটা চাট্টি দিয়েছি, বলে হাসতে লাগল।
খেলা শেষ করতে হোল। স্কুলে যেতে হবে।
আচ্ছা বলতো তখন আমাদের বয়স কত? ক্লাস ফাইভে পড়ি। তাই না?
সেইদিন স্কুলে এসে তোকে দেখলাম আমাদের ক্লাসে। আগেও তুই এসেছিস। কিন্তু আমি খেয়াল করিনি। অন্য বন্ধুদের সাথে ক্লাস শেষে খেলায় মত্ত ছিলাম। তোরা কেবল নতুন এসেছিস এই পাড়ায়।
তোর বাবা বদলি হয়ে এসেছে এই খানে। আমাদের বাসার ঠিক পিছনেই তোদের বাসা।
আমি তোর কাছে যেয়ে বলেছিলাম, মহি ওই রকমই। তুই আজ বিকেলে আমাদের বাসার সামনের মাঠে চলে আসিস, ফুটবল খেলব।
তুই কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলি আমার দিকে। বন্ধু বলতে সেই মুহূর্তে আমিই। হয়ত তাই ভাবছিলি।
কিরে ? বাবা মানা করেছে ফুটবল খেলতে। বলে হাসতে হাসতে ওর ঘাড়ে একটা থাপ্পর দিলাম। অবশ্য আস্তে।
না, বাবা মানা করেনি, আসব।
জাম্বুরাকে ফুটবল বানিয়ে আমাদের খেলা।
আজ এইক্ষণে ফেলে আসা ঘটনা গুলো মনে পড়ছে, মনে হচ্ছে এইতো সেদিন সেই দিনগুলো। চলে গেলো কত তাড়াতাড়ি।
তুই ছিলি গোলকিপার। নাদুস নুদুস, বাবা মার আদরের ছেলে। দৌড়ানোর অভ্যাস ছিল বলে মনে হয় না। তাই তোকে আমরা গোলকিপার বানিয়ে ছিলাম। দেখা গেলো তুই তাতেও আনাড়ি।
খেলা শেষে তুই জাম্বুরাটাকে হাতে নিয়ে বলেছিলি, চলো, তোমাকে আমাদের বাসায় নিয়ে যাবো।
আমি আবার তোকে থাপ্পর দিয়ে বলেছিলাম, ধ্যাত, কি তুমি তুমি করছিস।
সেই ময়লা পা, ময়লা জামা নিয়ে চলে এলাম তোদের বাড়ীতে।
তোর মা (পরে খালাম্মা বলে ডাকতাম) কি যেন ভাজছিল।
-দেখো মা, কাকে নিয়ে এসেছি? আমার বন্ধু, ঐ বাসাতে থাকে। আমরা এক ক্লাসে পড়ি। এই জাম্বুরা দিয়ে ফুটবল খেলছিলাম।
তোমার নাম কি? বলে খালাম্মা উননের দিকে নজর দিল।
নান্টু।
তোমার বাবা কি করে?
বললাম বাবার কথা।
ও হা তোমার খালু বলছিল তোমার বাবার কথা। তোমরা তো অনেক দিন এখানে আছো।
যাক ভালই হোল, পিকু একটা বন্ধু পেলো। ওর বন্ধু পাতাতে অনেক দিন লাগে।
তারপর তোর মা রুটির মধ্যে কি যেন দিয়ে গোল করে আমার হাতে দিয়ে বলল, খেয়ে নাও।
আমি ওই ময়লা হাতে সেটাকে গবগব করে খেয়ে ফেললাম।
ভীষণ খিদে পেয়েছিল।
সব কোথায় হারিয়ে গেলো, তাই না রে?
আজ লিখতে বসে চোখ টা ভিজে আসছে। আজ তুই কোথায়, জানিনা, আজ আমি কোথায় তুই ও জানিস না। হয়তো তুই আছিস, হয়তো নেই, আমি জানিনা।
মনে পরে কি, দুপুর বেলার সেই বাঁদরামি গুলো। স্কুল থেকে এসে, বই গুলো ছুড়ে ফেলে, দৌড়ে চলে আসতাম তোদের বাড়ীতে। তুই আমি আর কি যেন ওর নাম, ও হাঁ, সন্তু, মিলে ঝোপে ঘেরা পুকুর পাড়ে বসতাম।
ওই ঝোপ ঝারে বসে থাকতো, দয়েল, ঘুঘু, শালিক। আমার হাতে গুলতি। পকেটে মার্বেল।
তুই বলতি, ঐ ঐ দেখ, ঐ শালিক টাকে মার।
আমি গুলতি টাকে টেনে, নিরিখ করে, ছেড়ে দেতাম মার্বেল টা।
আমার আনন্দ ওটাকে বধ করা, তোর আনন্দ দেখে।
বলতাম, এবার পুকুরে ঝাপ দেবো। সন্তু গায়ের জামা খুলে প্রস্তুত। তুই বলতি, না না আমি যাবো না।
সাঁতার জানিস না?
না
তুই একটা হদ্দ। সিঁড়ি বেয়ে গলা জলে দাড়িয়ে থাকিস। আমরা সাঁতার দিয়ে ওপারে যাবো।
ভিজা প্যান্টে বাড়ী গেলে মা মারবে।
এই চাতালে শুয়ে থাকবি, তাহলে রোদেই শুকিয়ে যাবে।
আর চোখ লাল হয়ে থাকলে?
ঐ যে গাছটা দেখছিস ওর পাতা চোখের উপরে দিয়ে শুয়ে থাকবি, তা হলে চোখের লাল চলে যাবে।
তুই ঠিক বলছিস তো?
তোর ভয় কাটে না। পরে অবশ্য কেটেছিল।
এই ভাবে বাঁদরামি করে করে আমাদের অনেক গুলো বছর কেটে গিয়ে ছিল।
মনে পরে তুই বলেছিলি, আচ্ছা, এতো সব করেও তুই ক্লাসে ভাল রেজাল্ট করিস কি ভাবে?
বলেছিলাম, জানিনা।
তোদের বাসার পাশ দিয়ে, পায়ে চলার পথের রাস্তা টা, দুপাশে বাঁশের ঝার, তার মাঝ দিয়ে পথ এসে থেমে ছিল ধোপাদের বাসায়। তার পাশেই ছিল একটা মাঠ।
মনে পরে কি?
সেই মাঠে খেলা হতো কাবাডি।
তুই আর আমি বিকেলে বসে বসে ঐ কাবাডি খেলা দেখতাম।
খুব খেলতে ইচ্ছা করত। একদিন রাখালকে বলেছিলাম, আমাকে নেবে।
-তুই বাচ্চা। পা ভেঙ্গে যাবে।
-আমি অনেক দম রাখতে পাড়ি, নিয়েই দেখনা।
নিয়েছিল ওরা আমাকে।
তোকে বলেছিলাম, খেলবি?
না, আমি পারবো না। আমার পা ভেঙ্গে যাবে। বলে ভয় ভয় চোখ করে চেয়ে রইলি।
তুই অনেক ভীতু ছিলি।
সেই ছোটবেলা থেকে আজ। মাঝে অনেক টা পথ পেড়িয়ে গেছে।
জানিস কোথায় যেন পড়েছিলাম, নদী যেমন সোজাসুজি সমুদ্রে বাক খায় না, নানা বাঁক করে তারপর মোহনায় পৌছায়, মানুষের জীবনটাও তাই। সোজা পথে চলতে চলতে কখন যে বাঁক নেবে তা তুই ও জানিস না আমিও না।
অনেক সময় অঙ্ক মেলে না।
কি যা তা বকছি।
যাক যা বলছিলাম—
মনে আছে কি, চুয়াডাঙ্গা রাস্তা ধরে বেশ কিছুদূর এগিয়ে গেলে বা দিকে বড় বড় দুটো গাছের মাঝ দিয়ে যে ঢাল নেমে গেছে, ওটা ধরে একটু এগিয়ে গেলে বনের মাঝে ছোট্ট একটা লাল ঘর। ওটা কে বলে মড়া কাঁটা ঘর।
শুনেছিলাম ওখানে নাকি মানুষ কে কাঁটা হয়।
কেনও? তখনও তা জানার বয়স হয়নি।
তুই, আমি, সন্তু আর সেলিম একদিন আখের বাগান থেকে আখ নিয়ে পরিমল দের বাসার পাশের মেঠো পথ ধরে হাটতে হাটতে আসার পথে বললাম, যাবি মড়া কাঁটা ঘরে।
তুই ভয়জড়িত কণ্ঠে বললি, না না আমি যাবো না। ওখানে ভুত থাকে।
ধ্যাত, কিছু থাকে না।
সন্তু সেলিম রাজি।
তুই অবশ্য পরে রাজি হয়েছিলি। তোর মুখ টা ফ্যাকাসে ফ্যাকাসে লাগছিল।
লালা ঘর টা দেখা গেলো। আমার ভিতরে অজান্তে একটা ভয় আকুপাকু করছেল। তোদের সামনে প্রকাশ করিনি।
ঝোপ ঝারে ভরা চারিদিক। কয়েকটা সিঁড়ি বেয়ে তারপরে দরজা। তালা লাগানো। পাশের দালানের উপরে একটা ছোট্ট জানালা। আমাদের নাগালের বাহিরে।
সন্তু বলল, আমার ভয় করছে, চল চলে যাই।
ঠিক সেই সময় কোথা থেকে বিশাল কালো এক লোক, গায়ে ছেড়া জামা, পরনে লুঙ্গি, কাছা মারা। আমার জামাটা টেনে ধরল। আমি চিৎকার করে উঠলাম।
নেহি ছরেঙ্গা আজ। বলে হুঙ্কার দিল লোক টা।
সেলিম কাঁদতে কাঁদতে বলল, আমি কিছু জানিনা, নান্টু নিয়ে এসেছে।
কহী বাত নেহি, সব কো ভী ঘর কা ভিতর তালা বন্দ করকে রাখে গা।
বলে চাবি টা দেখালও লুঙ্গির কোছা থেকে।
আমি কাঁপতে কাঁপতে বললাম, ছেড়ে দাও, আর কোনদিন আসবো না।
নেহি ছরেঙ্গা আজ। বলে আবারও হুঙ্কার দিল।
সন্তু এবার হাউ মাউ করে কেঁদে উঠল।
হয়তো সন্তুর কান্না দেখে লোকটা আমার জামাটা ছেড়ে দিল। তোর দিকে তাকানোর মতো অবস্থা আমার নেই।
সবাই ভয়ে কাঁপছি।
ঠিক হ্যায়, কহী বাত নেহি, আজ ছোঁড় দেতা হ্যায়, ইধাঁর পর মাত আনা, সাপ খোপ হ্যায় ইধাঁর পর। সামাল কে জানা।
বলে লোক টা উধাও হয়ে গেলো।
আমরা তরী কি মরি করে দৌড়।
সেই দিন আমরা সবাই ভয় পেয়েছিলাম। সারাটা পথ তুই কথা বলিস নি। আমিও না।
আহা রে সেইদিন গুলো ছিল নিষ্পাপে ভরা, তাই না?
তারপর এলো সেই দিন টা।
যে দিন তুই আমাকে এসে বললি, আমরা চলে যাবো এখান থেকে। বাবা বদলি হয়ে গেছে।
আমার খুব খারাপ লেগেছিল। আমার অনেক বন্ধু, কিন্তু তুই ছিলি আমার সব চেয়ে কাছের।
জানিস আমি সেই রাতে ঘুমাতে পারিনি। মা কে বলেছিলাম। মা বলেছিল, খুব দুরে তো যাচ্ছে না, এইখান থেকে যশর।
মাত্র দুই ঘণ্টার পথ।
আমার মনে হচ্ছিল তুই অনেক অনেক দুরে চলে যাচ্ছিস।
তখন আমরা কোন ক্লাসে? ক্লাস সেভেন এ।
আমি এলাম তোদের বাসায়। খালাম্মা আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিল, বাবা, তুমি তোমার মা কে নিয়ে এসো আমাদের নতুন জাগায়। শুনেছি তোমার বাবা প্রায় যায় অফিসের কাজে।
বাসার সামনে ট্রাক টা দাঁড়ানো। মালপত্র উঠানো হচ্ছে। আমি আর তুই সেলিম দের বাসার সিঁড়িতে বসে দেখছি। খালু তদারকি করছে। তোর বড় বোন, আজ নামটা ভুলে গেছি, ডাক দিল, বলল, তোরা দুজন আয় খেয়ে নে। তোদের বাসার বাড়া ভাত কত দিন যে আমি খেয়েছি তার কি কোন হিসেব আছে?
দুপুর গড়িয়ে বিকেল এলো। সব ঠিক। এবার যাওয়ার পালা। খালু যাবে ট্রাকের সাথে। তোদের জন্য এসেছে আর একটা গাড়ী।
ট্রাক টা চলে গেলো। ঘর টা শূন্য।
তুই আর আমি কিছুক্ষণ দাড়িয়ে রইলাম পাশাপাশি। তোর চোখে কি পানি ছিল?
খালাম্মা এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল, কাঁদিস নে।
আমি কি কাঁদছিলাম? জানিনা। মনের অগোচরে কান্না এসেছিল।
গাড়ীর পিছনে পিছনে আমি হেটে ছিলাম। আস্তে আস্তে গাড়ীটা মিলিয়ে গেলো।
জানিস আমি আর কোনদিন ফিরে আসিনি তোদের ঐ বাসায়।
তোর সাথে সেই আমার শেষ দেখা। দুই ঘণ্টার পথ, কিন্তু দুই বছরেও যাওয়া হোল না।
আস্তে আস্তে আমার দুরন্তপনা মিলিয়ে গেলো। আমি একের পর এক ক্লাস পাড় হয়ে শেষ বর্ষে এসে পৌছালাম।
আমি তখন স্কুলের ফুটবল টীমের ক্যাপ্টেন। আমাদের টিম গিয়েছিল তোদের জেলা স্কুলের সাথে ফাইনাল ম্যাচ খেলতে।
তখনো টিমটিম করে তোর স্মৃতি টা মনের মাঝে ভাসছে। একেই বলে চোখের আড়াল তো মনের আড়াল।
আমি তোদের টীমের ক্যাপ্টেন কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম তোর কথা।
বলেছিল, ওরা তো নেই এখানে, গত বছর চলে গেছে এখান থেকে।
তোর খোঁজ আর পেলাম না।
জানিস মাঝে মাঝে ভাবি যদি একটা বার কয়েক ঘণ্টার জন্য ফিরে যেতে পারতাম ঐ ছোটবেলা আর মাঝবেলা তে।
দেখতে পেতাম তোকে, দেখতে পেতাম আমার প্রিয় আর একজন কে।
তা হবার নয়।
আশায় রইলাম, হয়তো একদিন দেখা হবে তোর সাথে। সেদিন তুই চিনতে পারবি তো?
অসম্ভব অসম্ভব ভালো লাগলো লেখাটা।গল্পটা পড়ে বুকের মধ্যে মোচড় দিয়ে উঠলো।প্রতিটা মানুষের স্মৃতিতেই মনে হয় গেথে থাকে ছোটবেলার স্মৃতি।এই গল্পটা এতোই অপূর্ব হয়েছে একবার যে পড়বে সে কিছুক্ষনের জন্য হলেও ফিরে তাকাবে তার নিজের ছোটবেলার স্মৃতিতে।
আমার ছোটবেলাটাও মনে পড়ে গেল।পিকুর একদম ছোট ভাই টিপু আমাদের সাথে খেলতো।আর পিকুর পরের ভাই, নামটা ভুলে গেছি, সে এসে আমাদের খেলা পণ্ড করে দিত।ওর নামেপ্রায়প্রতিদিন নালিশ করা হতো।কে যেন বলেছিল পিকুর সবচেয়েবড় ভাইটা আর নাই, সেলিমও চলে গেছে গত কুরবানীতে।অসম্ভব ভালো একটা লেখা পড়লাম। চোখে জল এলো।মনে হলো আর একবার যদি ফিরে যেতে পারতাম ছোট্টবেলাটায়! কত খেলা খেলা হয়নি কত গল্পবলা হয়নি।কি নিশ্চিত জীবন ছিল।হাসি আনন্দ ছিল। কোথায় হারিয়ে গেল।এখন এক জটিল জীবনের ভিতরদিয়ে চলতে হয়।সেখানে কোন হাসি নেই আনন্দ নেই এমনকি চোখেরজলও নেই। খুব খুব ভালো হয়েছে।
5 Comments
অসম্ভব অসম্ভব ভালো লাগলো লেখাটা।গল্পটা পড়ে বুকের মধ্যে মোচড় দিয়ে উঠলো।প্রতিটা মানুষের স্মৃতিতেই মনে হয় গেথে থাকে ছোটবেলার স্মৃতি।এই গল্পটা এতোই অপূর্ব হয়েছে একবার যে পড়বে সে কিছুক্ষনের জন্য হলেও ফিরে তাকাবে তার নিজের ছোটবেলার স্মৃতিতে।
Alpo somoer janno holeo mone pore gelo chotobelar sriti.Really childhood is a fantastic stage.Nice writing.
আমার ছোটবেলাটাও মনে পড়ে গেল।পিকুর একদম ছোট ভাই টিপু আমাদের সাথে খেলতো।আর পিকুর পরের ভাই, নামটা ভুলে গেছি, সে এসে আমাদের খেলা পণ্ড করে দিত।ওর নামেপ্রায়প্রতিদিন নালিশ করা হতো।কে যেন বলেছিল পিকুর সবচেয়েবড় ভাইটা আর নাই, সেলিমও চলে গেছে গত কুরবানীতে।অসম্ভব ভালো একটা লেখা পড়লাম। চোখে জল এলো।মনে হলো আর একবার যদি ফিরে যেতে পারতাম ছোট্টবেলাটায়! কত খেলা খেলা হয়নি কত গল্পবলা হয়নি।কি নিশ্চিত জীবন ছিল।হাসি আনন্দ ছিল। কোথায় হারিয়ে গেল।এখন এক জটিল জীবনের ভিতরদিয়ে চলতে হয়।সেখানে কোন হাসি নেই আনন্দ নেই এমনকি চোখেরজলও নেই। খুব খুব ভালো হয়েছে।
ছোট বেলার হারানো বনধুর স্মৃতি গুলো খুব সুন্দর ভাবে প্রকাশ পেয়েছে ।
পড়ে ভাল লাগল ।
Wonderful!you make me cry and remind me my childhood.