বেশ তো ছিলাম।
সকালে নাশতা শেষ বসতাম টিভির সামনে। CNN,MSNBC,BBC।
শেষে cnbc.
স্টক উঠা নামা করছে।
একটা থ্রীল।
দুপুর একটায় বেড়িয়ে পড়তে হবে, নচেৎ যোহরের নামাজ ধরা যাবে না। নামাজ শেষে আছে mingling.
তিন বেলা যেতাম ঐটুকু পাওয়ার জন্য।
কখনো কখনো পাঁচ জন কে জোগাড় করে সকালে এসে বসতাম পেনারা তে।
গল্প চলতো।
এলো করোনাভাইরাস।
সব হারিয়ে গেলো।
সবাই আতঙ্কিত।
Costco, Stop & shop থেকে সব কিছু উধাও।
নেই পানি, নেই হ্যান্ড সেনিটাইযার।
লোকে পাগলের মতো কিনছে। এক দুই তিন মাসের মত মজুত করে রাখবে।
লাইসলের বোতল একটা আছে।
হুমড়ি খেয়ে পড়ল পাঁচ জন। যে পেলো তার মুখে হাসি।
বাথরুম টিসু, এক এক জনের ঠেলাগাড়িতে দুই তিন বান্ডিল।
একজন বলল, ভাই অর্ধেক টা যদি দেন, তাহলে বেচে যাই। অনেক জাগায় গিয়েছি পাইনি।
কি ভাবে ছাপছুপ করব, বলেন।
মনে হোলও বলি বদনা চেনেন? বদনা?
না এরা বদনা চেনে না। এই পরিস্থিতে যদি একটা বদনা থাকতো তাহলে এই বাথরুম টিসু নিয়ে মন কষাকষি হতোনা।
খবর এলো, মসজিদ বন্ধ।
তা হলে?
Mingling নেই।
ধস নেমেছে স্টক মার্কেটে। চলে গেছে শত শত ডলার। পরিত্রাণ নেই।
আগামীকাল দাম বাড়বে বলে যে ধরে রেখেছিল, সে হায় হায় করে উঠল মাথায় হাত দিয়ে।
Dow নেমে গেছে ২০০০ পয়েন্ট। Nasdaq ৫০০
ইতালি তে জারী করা হয়েছে কেউ বের হতে পারবে না বাসা থেকে। নিতান্তই খুব দরকারি কাজ বা শারীরিক কারন ছাড়া।
আমেরিকাতে জারী করা হয়েছে ন্যাশনাল ইমারযেন্সী।
যাওয়ার কথা ছিল ফ্লোরিডা তে। এক বিয়ের অনুষ্ঠানে। বন্ধ হয়ে গেলো।
এয়ারলাইন টাকা ফেরত দেবে না। বলল, ক্রেডিট দিলাম, যখন যেতে চাও যেতে পারবে। ওই টাকা তখন ব্যবহার করবে।
এই পরিস্থিতি তে পরিনি কোনদিন।
যে বয়সে এসে পৌঁছেছি শুনলাম এই বিচ্ছু টা নাকি আমাদেরকেই খুজছে। আমাদের বয়সের লোকদের কে ধরলে আর রক্ষে নেই।
কাজেই ঘরে বন্দি।
গরম পানি দিয়ে গারগেল, নিয়মিত কয়েক বার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, সেই সাথে কয়েক বোতল পানি খেয়ে চলেছি।
বিভিন্ন মহারথীরা যা যা বলছে মেনে চলার চেস্টা করছি।
বিচ্ছু টা যাতে কাছে ভিড়তে না পারে।
এক বন্ধু আছে আমারই মতো, তার ওখানেই আমি যাই কফি খেতে, সে আসে আমার এখানে।
ছেলে মেয়েরা বার বার বলছে, চলে এসো আমাদের এখানে। তোমার একলা বাসায় quarantine হয়ে থাকার দরকার নেই।
আইডিয়া টা মন্দ নয়। চিন্তা করে দেখতে হবে।
1 Comment
লেখাটা দারুন!আমাদের সবার বাস্তব চিত্র!